চলনবিলে হাঁসের ডিমের হালি কুড়ি টাকা!

প্রকাশিত: মার্চ ২৬, ২০২০; সময়: ১০:৪৬ অপরাহ্ণ |
চলনবিলে হাঁসের ডিমের হালি কুড়ি টাকা!

নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর : করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নাটোরের সিংড়াসহ চলনবিল এলাকা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আর গণপরিবহন চলাচল না করায় হঠাৎ করেই ৪০ টাকা হালি হাঁসের ডিম কুড়ি টাকায় নেমে এসেছে। এতে চলনবিল এলাকার প্রায় শতাধিক হাঁসের খামার মালিক লোকসানের মুখে পড়েছেন। বৃহস্পতিবার সরোজমিনে সিংড়ার চলনবিল গেট এলাকায় ডিমের আড়ত ঘুরে দেখা যায় খামারিরা ডিম নিয়ে বসে রয়েছেন। কিন্তুু সেখানে ক্রেতা শূন্য।

খামার মালিক হযরত আলী বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে চলনবিলে শতাধিক হাসের খামার গড়ে উঠেছে। এসব খামার করে প্রায় প্রত্যেকেই স্বাবলম্বি হয়েছেন। এসব খামারের ডিম স্থানীয় হাটে বিক্রির জন্য আনা হয়। কিন্তুু ক্রেতা না থাকায় তাদের অর্ধেক দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। গত ২/৩ দিন ধরে এই অবস্থারর সৃষ্টি হয়েছে। চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়ায় সপ্তাহে সোম ও বৃহস্পতিবার এই দু’দিন হাট বসে। প্রতি হাটেই প্রতি হালি হাসের ডিম ৪০ থেকে ৫০টাকায় বিক্রয় হয়। কিন্তুু করোনার কারনে যানবাহন বন্ধ হওয়াসহ লকডাউনের কারণে আড়তে ক্রেতার দেখা মিলছেনা। ক্রেতা শূন্য হওয়ায় ডিম বিক্রয় করতে পারছেন না তারা। ফলে কম দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে এসব হাসের ডিম।

তাইফুর রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, হাঠে পাইকার আসেনাই। তাই বাড়ির জন্য অর্ধেক দামে ডিম কিনতে পেরে খুব ভালো লাগছে। তবে করোনা ভাইরাস আতঙ্কও রয়েছে তাদের মনে। এই ডিম কিনে করোনায় আক্রান্ত হতে হয় কিনা তা নিয়েই বেশী ভাবনা হচ্ছে।

চলনবিল ডিমের আড়তের মালিক আব্দুল ওহাব বলেন, করোনা রোধে সরকারের নির্দেশনার কারনে গণপরিবহন চলাচল করছেনা। যারা পাইকারী ডিম কিনে নিয়ে যান বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা সদরের হাটবাজারগুলোতে। সেসব পাইকারী ক্রেতারা গণপরিবহনের কারনে হাটে আসতে পারছেননা। ফলে হাসের ডিমের বাজারে এই ধস নেমেছে। পাইকার না আসায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে খামার মালিকদের অর্ধেক দামে ডিম বিক্রয় করতে হচ্ছে। আর যারা ডিম কিনছে তারা তো সাধারণ জনগন। এতো ডিম একসাথে তারা কিনবেনা। জীবনযাত্রা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তাদের লোকসান গুনতে হবে এমন শংকায় রয়েছেন তারা।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে