আবরার হত্যা : অভিযোগ গঠনের শুনানি ফের পেছালো

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০; সময়: ২:১৬ অপরাহ্ণ |
আবরার হত্যা : অভিযোগ গঠনের শুনানি ফের পেছালো

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের গেজেট প্রকাশিত না হওয়ায় আবারও পেছালো অভিযোগ গঠনের শুনানি। এ মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৮ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এই দিন ঠিক করে দেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস পাল জানিয়েছেন।

এদিন আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ মামলাটি বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করবেন বলে বিচারককে জানিয়েছেন।

গত ১২ জানুয়া‌রি ঢাকার অতি‌রিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. কায়সারুল ইসলাম মামলা‌টি বিচা‌রের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদাল‌তে বদ‌লির আদেশ দেন। ওইদিনই মামলা‌টি স্থানান্তর হয়। এরপর দুই দফায় অভিযোগ গঠন ‍শুনানি পেছানো হয়।

এই হত্যা মামলায় গতবছরের ১৩ ন‌ভেম্বর ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন গো‌য়েন্দা পু‌লিশের (ডি‌বি) লালবাগ জোনের প‌রিদর্শক মো. ওয়া‌হিদুজ্জামান। ১৮ নভেম্বর অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পলাতক চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারে নাম রয়েছে ১৯ জনের। এছাড়া তদন্তে প্রাপ্ত এজাহারের বাইরে ছয়জন। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জন ও এজাহারবহির্ভূত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার হয়েছে। এ মামলায় আট আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এজাহারে থাকা আসামিরা হলো— মেহেদী হাসান রাসেল, অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল,মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এএসএম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদুজ্জামান জিসান ও এহতেশামুল রাব্বি তানিম।

এজাহারবহির্ভূত ছয় জন হলো— ইশতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান,শামসুল আরেফিন রাফাত, এসএম মাহমুদ সেতু ও মোস্তবা রাফিদ।

এখন পলাতক আছেন মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। এর ম‌ধ্যে মোস্তবা রা‌ফিদের নাম এজাহা‌রে ছিল না।

উল্লেখ্য, গত বছরের গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে আবরারকে তার কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। তারা ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে গিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে রাত তিনটার দিকে হলের সিঁড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় গত ৭ অক্টোবর রাজধানীর চকবাজার থানায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ পরে ২২ জনকে গ্রেফতার করে। এর মধ্যে আট জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এদের সবাই বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে