খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে পাঠদান

প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২০; সময়: ২:১৩ অপরাহ্ণ |
খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে পাঠদান

স্বপন মির্জা, সিরাজগঞ্জ : করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেশজুড়ে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে সিরাজগঞ্জ জেলার উচ্চ শিক্ষা বিস্তারের ২টি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ২টি বিশ্ববিদ্যালয়ও বন্ধ রয়েছে। তবে অনলাইনে পাঠদানের মাধ্যমে বিকল্প ক্লাশ চালু করেছে শিক্ষা সেবা প্রতিষ্ঠান খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানের অধ্যায়নরত এক হাজার ৪৫০ জন শিক্ষার্থীকে এভাবে পাঠদান করা হচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানটি সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ ক্রমে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময়ে নিজ বাসা-বাড়িতে অবস্থানের নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের। করোনা সংক্রামনের চলমান সংকটময় পরিস্থিতিতে মানব হিতৈষী কর্মবীর ডাঃ মীর মোহাম্মদ আমজাদ হোসেনের উদ্যোগে এনায়েতপুরে প্রতিষ্ঠিত খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ থাকলেও বিকল্প ব্যবস্থাপনায় লেখা-পড়া অব্যাহত রাখা হয়েছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের সেশনজটের মত ক্ষতি মোকাবেলায় উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় অত্র প্রতিষ্ঠানের ট্রাস্টিবোর্ড চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউসুফের পরামর্শে অনলাইনে পাঠদান ও গ্রহন চালু রেখেছে শিক্ষকেরা।

গত ২৪ মার্চ হতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান প্রকৌশল, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সস্টাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকাট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ফার্মেসী, বায়ো ক্যামেস্টি এন্ড বায়ো টেকনলোজি, মাইক্রো বায়োলজি, ইংরেজী, আইন, লাইব্রেরী এন্ড ইনফরমেশন সাইন্স, বিবিএ, ইসলামিক স্ট্রাডিজ, মেডিকেল ফিজিক্সসহ ১৪টি বিষয়ে মোট এক হাজার ৪৫০ জন শিক্ষার্থীকে অনলাইনে পাঠদানে আওতাভুক্তে আনা হয়। এক্ষেত্রে ক্লাসে উপস্থিতি পাঠদানের মত পরিপুর্ন ভাবে সবাই অংশ গ্রহন করতে না পারলেও শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ সম্পৃক্ত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক তারেকুল ইসলাম জানান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশক্রমে জুম অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে একাডেমিক লাইভ ক্লাস, প্রেজেন্টেশন, কুইজ, অ্যাসাইনমেন্টের জন্য গুগোল ক্লাসরুম ব্যবহার করে আমাদের শিক্ষার্থীদের পাঠদান অব্যাহত রেখেছি। এতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৬০/৬৫ ভাগ ছাত্র-ছাত্রী ডিজিটাল পাঠদানে সম্পৃক্ত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র বগুড়ার ওমর ফারুক, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রথম বর্ষের ছাত্র সিরাজগঞ্জের আহাদ সাদেক, বেলকুচির ইংরেজী বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী রাজিয়া খাতুন ও লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্স বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্রী শাহজাদপুরের ফারজানা আক্তার জানান, সামনে আমাদের পরীক্ষা, অথচ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। তাই চিন্থিত ছিলাম। এ অবস্থায় অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম আমাদের আশার আলো জাগিয়েছে। বাড়িতে বসেই প্রযুক্তির ব্যবহার করে ক্লাশ করতে পারছি। এজন্য কর্তৃপক্ষের দায়িত্ববোধের প্রতি আমরা সম্মান জানচ্ছি।

অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা এই মুহূর্তে সময়ের দাবি মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডঃ হোসেন রেজা। তিনি জানান, করোনার কারনে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের জন্য শিক্ষার্থীরা অনেক দিন ক্লাসের বাইরে থাকবে। এছাড়া সেমিস্টার শেষ হবার পথে। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের প্রতিষ্ঠান এটিআইয়ের সহায়তার পাশাপাশি আমাদের শিক্ষালয়ে প্রযুক্তির পুর্নতা থাকায় এ কার্যক্রম চালু করেছি। এক্ষেত্রে আমাদের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ প্রশংসার দাবিদার।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে