ধর্ষককে আজীবন বহিস্কারসহ ছয় দফা দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০; সময়: ৩:১৯ অপরাহ্ণ |
ধর্ষককে আজীবন বহিস্কারসহ ছয় দফা দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি : বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ধর্ষণকারীর আজীবন বহিস্কারসহ ছয় দফা দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। বুধবার দুপুর ১২ টায় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

অন্য দাবিগুলো হলো যৌন নিপীড়ন সেলের কার্যকারীতা বৃদ্ধি, আইনের ফাঁক গলিয়ে যেন অপরাধী বের না হতে পারে তার জন্য প্রশাসনের পদক্ষেপ নেওয়া, নারীবান্ধব ক্যাম্পাস তৈরী করা, বহিরাগতদের চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও ক্যাম্পাসে মোটরসাইকেল সব্বোর্চ স্পিড লিমিট ২০ কিলোমিটার করা।

এসময় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে পড়ে একজন ছাত্র যখন ধষর্ণের মতো অপরাধ করে তখন তাদের কাছ থেকে দেশের আপামর জনসাধারণের শেখার কিছু থাকে না। মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কিন্তু সরকার, রাষ্ট্র, বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষকের পড়ার কোন অধিকার নাই। তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করাসহ সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে এসেও আমরা সভ্য হতে পারিনি। পত্রিকার পাতা, রেডিও, টেলিভিশনে প্রতিনিয়ত ধর্ষণের খবর দেখতে হয়। দেশ এখন অপরাধীদের বিষবাষ্পে পরিণত হয়েছে। তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। কোন ঘটনা ঘটলে আমরা বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করি। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করতে হবে কেন। দেশের আইন-বিচার ব্যবস্থার দায়িত্বে যারা আছেন তারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে তাহলে অপরাধের সংখ্যা কমে যাবে। আপনারা নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। এসময় মানববন্ধনে বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮ টার দিকে গল্প করার কথা বলে শারুদ তার বান্ধবীকে কাজলা সাঁকপাড়া এলাকায় তার ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। এসময় তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন শারুদ। এমনকি পূর্বপরিকল্পিতভাবে কৌশলে শারুদের বন্ধু বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যায়ের আইন পড়ুয়া প্লাবন তালুকদার, রাফসান, কাজলা এলাকার তারেক মাহমুব জয়, জীবন ও বিশাল মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ শেষে ভুক্তভোগীর কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে তারা। পরে টাকা না দিলে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে গভীর রাতে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। পুরো ঘটনাটি পরিবারের কাছে জানালে ২৭ জানুয়ারি দুপুরে মা-বাবার সঙ্গে মতিহার থানায় যান ভুক্তভোগী। ভুক্তভোগী নিজেই বাদী হয়ে ছয় জনকে আসামী করে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন।’

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে