শিক্ষকের ধর্ষণে তিন ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০; সময়: ৫:০২ অপরাহ্ণ |

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ডিমলা উপজেলার খগাখড়িবাড়ী দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুস সোবহানের যৌন লালসার শিকার একাধীক ছাত্রী। এ শিক্ষকের কাছে সম্ভ্রম হারানোর আশঙ্কায় আতঙ্কিত সাধারন ছাত্রীরা। চরিত্রহীন লম্পট শিক্ষক আব্দুস সোবহানের শাস্তির দাবী জানিয়ে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন সাধারণ ছাত্রীরা।

অভিযোগে জানা গেছে, সহকারী শিক্ষক আব্দুস সোবহান প্রথম স্ত্রী সন্তান রেখে গৃহ পরিচারিকাসহ নিজ বিদ্যালয়ের গরীব ছাত্রীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেয়ার নামে গড়ে তোলেন দৈহিক সম্পর্ক। এভাবে বিদ্যালয়ের তিনজন ছাত্রীর সাথে দীর্ঘস্থায়ী অনৈতিক সম্পর্কের জেরে তারা হয়ে পড়ে অন্ত:সত্বা। এ অভিযোগ থেকে বাঁচতে লোক দেখানো বিয়ে করে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেন।

এভাবে বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ফেন্সি আক্তার, নবম শ্রেণির ছাত্রী রুপালি আক্তার, একই শ্রেণির ছাত্রী রোজিনা আক্তারের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। দীর্ঘদিনের দৈহিক সম্পর্কের কারনে তারা সকলে অন্তঃসত্তা হয়ে পড়ে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তাদের বিয়েও করেন। নারী লোভী এই লম্পট শিক্ষক ছাত্রীদের সাথে এরকম অনৈতিক সম্পর্ক করে বিয়ে করলেও তার চরিত্র এখনও বদলায়নি।

সাধারন শিক্ষার্থীরা চরিত্রহীন লম্পট সহকারী শিক্ষক আব্দুস সোবহানের লালসা থেকে বাঁচতে প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এরপরেও কোন সুবিচার না পেয়ে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসসলামের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

সহকারী শিক্ষক আব্দুস সোবহান মুঠোফোনে বলেন, সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ফেন্সি আক্তার, নবম শ্রেণির ছাত্রী রুপালি আক্তার, একই শ্রেণির ছাত্রী রোজিনা আক্তারের সাথে তার কোন অনৈতিক সম্পর্ক নেই। ফেন্সি আক্তার, রুপালি আক্তার, রোজিনা আক্তারকে চেনেন কি না প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমার স্ত্রীর নামের সাথে তাদের নামের মিল থাকতে পারে। তবে তিনি স্পর্ধা দেখিয়ে বলেন, আমি শিক্ষক হয়ে ছাত্রীকেই বিয়ে করবো। আপনার স্ত্রীর বয়স ১৮ বছর হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি ক্ষুদ্ধ হয়ে বলেন, এত কথা আপনাকে বলতে পারবো না, আপনার যা লেখার আছে আপনি লেখেন। বলেই ফোনটি কেটে দেন তিনি।

এ ব্যাপারে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় বলেন, ছাত্রীদের অভিযোগটি তদন্তের জন্য পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, একজন শিক্ষক হবে আদর্শবান। শিক্ষক এবং ছাত্রীর সম্পর্ক হবে পিতা ও মেয়ের মতো। বিদ্যালয় নিরাপদ না হলে ছাত্রীদের পড়ালেখা বাধা গ্রস্থ হবে। সহকারী শিক্ষক আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি এসেছে সেটি সত্যিই নিন্দনীয়। বিষয়টির তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে