নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যানকে অবাঞ্ছতি ঘোষণা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২০; সময়: ৪:১২ অপরাহ্ণ |
নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যানকে অবাঞ্ছতি ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর : প্রত্যক্ষ ভোটাভুটির মাধ্যমে গঠিত নাটোরের নলডাঙ্গায় উপজেলা আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটিকে পাশ কাটিয়ে দলে বিভেদ সৃষ্টির লক্ষ্যে গঠিত পাল্টা কমিটি থেকে ৪৩ জন সদস্য নিজেদের নাম প্রত্যাহার করেছেন।

একই সাথে তারা নির্বাচিত কমিটির প্রতি নিজেদের পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে বিতর্কিত ওই কমিটিতে তাদের নাম দেয়ার অভিযোগ তুলে উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদকে নলডাঙ্গায় অবাঞ্ছতি ঘোষণা করে নিজেদের অগোচরে দেয়া নাম প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন।

শুক্রবার নলডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আকতার হোসেন।

এ সময় তিনি বলেন, গত ৮ ডিসেম্বর স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে উপজেলার কাউন্সিলরসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে গণতান্ত্রিক উপায়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয়।

সেখানে সকল কাউন্সিলরদের মতামত নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সেই কমিটির উপর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের আস্থা রয়েছে। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল দলের সুনাম ক্ষুন্ন করতে একটি পকেট কমিটি গঠন করে।

ওই কমিটি থেকে নাম প্রত্যহারকারীদের মধ্যে সহসভাপতি ইয়াসিন আলী,দপ্তর সম্পাদক মঞ্জুরুল আহসান,কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইসলাম সহ অনেকেই বলেন, তাদের অনেককে না জানিয়ে এবং আলাপ আলোচনা না করে নাম রাখা হয়েছে। এ জন্য তারা ওই কমিটি গঠনের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে সেখান থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষনা দেন।

এছাড়া কাউন্সিলে গঠিত কমিটির প্রতি সমর্থন জানিয়ে দলে বিভেদ সৃষ্টিকারী উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ ও পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আইয়ুব আলীকে নলডাঙ্গা থেকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করার আহবান জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ওই ৪৩ নেতা কর্মী লিখিত ঘোষনা পত্রে স্বাক্ষর করে আসাদের করা পকেট কমিটি থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষনা দেন।

এদিকে এবিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন,যারা ঘোষনা দিয়ে কমিটি থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করছেন তারা কেউ সদিচ্ছায় স্বাক্ষর করেননি। তাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ঘোষনাপত্রে স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করা হয়েছে। যেদিন উপজেলার দলীয় সম্মেলন থেকে অনুপ্রবেশকারীদের নেতা বানানোর চেষ্টা করা হয়,সেদিন সকলেই প্রতিবাদ জানিয়ে প্রকাশ্যে বিক্ষোভ করেছে।

পরে ওই সম্মেলনের মাঠে বসেই সর্বসম্মতিক্রমে উপজেলা আওয়ামীলীগের কমীটি গঠন করা হয়। যে কমিটি অনুমোদনের জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ করেছেন। এছাড়া এখনও কোন কমিটিই অনুমোদিত হয়নি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে