আজ নন্দীগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০২১; সময়: ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ |
আজ নন্দীগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস

নিজস্ব প্রতিবেদক, নন্দীগ্রাম : আজ ১৩ ডিসেম্বর নন্দীগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ১৩ই ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা পাক-হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে নন্দীগ্রামে স্বাধীনতার বিজয় পতাকা উত্তোলন করেছিল।

যুদ্ধ চলাকালিন সময় মুক্তিযোদ্ধারা আবু বক্কর এর নেতৃত্বে ভারতে ইউপি ডেরাডং সাব ডিভিশনে ভান্ডুয়া সামরিক কেন্দ্রের ৭ নম্বর সেক্টরের প্রশিক্ষণ গ্রহন করে ভারত-বাংলাদেশের হিলি সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এ সময় তারা পাক সেনা ও রাজাকারদের সাথে যুদ্ধ শুরু করে। এরপর তাদের নন্দীগ্রাম আশার পথে কাহালুর কড়ই বামুজা গ্রামে পাক হানাদারদের সাথে যুদ্ধ করে। ওই যুদ্ধে ১৮ জন পাক সেনা নিহত হয়।

মুক্তিযোদ্ধারা আবু বক্কর এর নেতৃত্বে ৯ই ডিসেম্বর নন্দীগ্রামে প্রবেশ করে। এখানে ৩ দফা যুদ্ধ করতে হয়েছে তাদের। প্রথমে ১১ই ডিসেম্বর নন্দীগ্রামের মন্ডল পুকুর সিএন্ডবি’র রাস্তার পার্শ্বে থেকে পাকসেনা ও তাদের দোসরদের উপর আক্রমন করে মুক্তিযোদ্ধারা। ওই দিন রণবাঘা বড় ব্রীজের নিকট রাজাকারদের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ হয়। অপর দিকে বেলঘরিয়ায় পাকসেনাদের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। সেই যুদ্ধে একজন পাকসেনা আত্নসমর্পণ করে।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকসেনারা রাজাকারদের সহযোগীতায় চাকলমা গ্রামের আকরাম হোসেন, বাদলাশন গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদ, রুস্তমপুর গ্রামের মহিউদ্দিন, ভাটরা গ্রামের আব্দুল সোবাহান, নন্দীগ্রামের মোফাজ্জল হোসেন, হাটকড়ই গ্রামের ছমিরউদ্দিন ও তার দুই পুত্র আব্দুল রাজ্জাক ও আব্দুল রশিদকে নির্মম ভাবে হত্যা করে।

৭১ এর ১২ই ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা থানায় আক্রমণ চালিয়ে প্রায় দু’শ পাকসেনা ও রাজাকারদের সাথে লড়াই করে। সেই যুদ্ধে ৮০ জন রাজাকারকে আটক সহ বিপুল পরিমান অস্ত্র উদ্ধার করে তারা। এছাড়া নন্দীগ্রামের ডাকনীতলায় পাকসেনা ও রাজাকারদের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন মরণ যুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

অবশেষে ১৯৭১ এর ১৩ই ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা পাকহানাদার ও রাজাকারদের হটিয়ে নন্দীগ্রাম হানাদার মুক্ত করে স্বাধীনতার বিজয় পতাকা উত্তোলন করে।

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে