প্রেম প্রত্যাখ্যান করায় স্কুলছাত্রীকে ছুরিকাঘাত

প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২২; সময়: ১০:৩৩ পূর্বাহ্ণ |
প্রেম প্রত্যাখ্যান করায় স্কুলছাত্রীকে ছুরিকাঘাত

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : প্রেম প্রত্যাখ্যান করায় ও কথা বলতে না চাওয়ায় এক স্কুল ছাত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মুখ ও হাতে আঘাত করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। শনিবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া বাজারের কালিতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত ছাত্রী কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাড়ি একই ইউনিয়নের মাঝপাড়া গ্রামে।

অভিযুক্ত কিশোরের নাম রানা (১৭)। সে ঝাউদিয়া ইউনিয়নের মাঝপাড়া এলাকার আবদুল জলিলের ছেলে এবং সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর খাতের আলীর ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আহত ছাত্রী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল রানা। প্রতিদিনের মতো এলাকার বড় ভাই সজলের কাছে শনিবার বিকেলে প্রাইভেট পড়তে যান ঝাউদিয়া বাজারের কালিতলা এলাকায়। সেখানে যাওয়ার পর এলাকার সম্পর্কে দুলাভাই আশরাফুল ইসলাম তাকে দেখা করার জন্য খবর দেন। পড়া শেষে আমি সেখানে গোলাপের হোটেলে দেখা করতে গেলে দেখেন রানা সেখানে উপস্থিত।

‘এ সময় রানা আমাকে দেখে বলে, তোমার সমস্যা কী? এ সময় আমি বলি, আমার ছবি আপনার ছবির সঙ্গে জোড়া লাগিয়েছেন কেন? আমার ছবিগুলো ডিলিট করে দেন। এ সময় রানা জানতে চান তার সঙ্গে কেন কথা বলি না। আমি বলি আপনার সঙ্গে আমি কোনো কথা বলব না। কথা -কাটাকাটির একপর্যায়ে পকেট থেকে ধারালো কিছু বের করে আমার মুখে ও হাতে পোচ মারে। দ্রুত আঘাত করেই হোটেলের পেছনে পালিয়ে যায় সে।’

ওই ছাত্রী বলেন, আমি যখন ক্লাস এইটে পড়ি তখন থেকে সে আমার পেছনে ঘোরে। আমি তাকে পাত্তা দেয়নি, সে কথা শোনে না। এ ঘটনার বিচার চান ওই ছাত্রী।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশরাফুল আলম বলেন, ‘আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে এক ছাত্রী হাসপাতালে আসে। তার মুখে ও হাতে আঘাত রয়েছে। ব্লেড বা খুরজাতীয় কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। আঘাত গভীর নয়। তাকে চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি রাখা হয়েছে।’

স্কুলের প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার সরকার বলেন, ‘বিকেলের দিকে ঘটনা ঘটেছে। আমার স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী সে। এলাকার এক বখাটে ব্লেড দিয়ে তাকে আঘাত করেছে বলে জানতে পেরেছি। আমরা খোঁজ খবর রাখছি। পরিবার থেকে মামলা করার প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। এদিকে ঘটনার পর দুলাভাই আশরাফুল ইসলামকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা পুলিশ আটক করেছে। ঘটনার আগে ওই ছাত্রীকে দেখা করতে বলে আশরাফুল। পুলিশের সন্দেহ সেও জড়িত থাকতে পারে।’

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আননুর জায়েদ বলেন, ‘আশরাফুলকে আটক করা হয়েছে। রানাকে আটক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ওই ছাত্রীর পরিবার থেকে এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। তারপরও পুলিশ চেষ্টা রানাকে আটক করার চেষ্টা করছে।’

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে