শিবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহতের ৬ দিনেও মরদেহ পাননি স্বজনরা

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২২; সময়: ৬:৫৬ অপরাহ্ণ |
শিবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহতের ৬ দিনেও মরদেহ পাননি স্বজনরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ : শিবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি রাখাল শামিম রেজার মরদেহ ছয়দিন পার হলেও ফেরত পাননি স্বজনরা। ছেলের মুখ এক নজর দেখতে মরিয়া হয়ে বসে আছেন মা শেরিনা বেগম ও বাবা বাইরুল ইসলাম। স্বজনরা বলছেন, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের গুলিতে গরু আনতে গিয়ে শামিম নিহত হয়েছেন। বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।

আমরা শামিমের মরদেহ ফেরত চাই। নিহতের মা শেরিনা বেগম বলেন, ঘটনার কয়েকদিন আগেই আমার ছেলে নওগাঁ থেকে ধান কেটে এসেছে। শামিম কোনদিনও ভারতে গরু আনতে যায়নি। তবে এবার যে কেন এসব কাজে গিয়ে জীবনটা দিতে গেল। এ কথা ভেবে দুশ্চিন্তায় রাতে ঘুম আসেনা। সারাক্ষণ রাস্তায় দিকে তাকিয়ে থাকছি, এই মনে হয় আমার শামিম বাড়ি আসবে। কিন্তু এ মন যে বোঝেনা আমার শামিম যে আর বেঁচে নেই। ঘটনার ছয়দিন পার হলেও মরদেহের কোন সন্ধান পায়নি।

শামিমের বাবা বাইরুল ইসলাম বলেন, গত ১৮ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে বের হয় শামিম। রাতে বাড়ি আসেনি। হঠাৎ ১৯ ডিসেম্বর সকালে লোখমুখে শুনতে পায় আমার ছেলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছে। তবে এখনো আমার ছেলের মরদেহের কোন খোঁজ পেলাম না। স্থানীয় বিজিবির সুবেদারের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। আমরা তার মরদেহ ফেরত চাই। নিহতের চাচা জিয়াউর রহমান বলেন, গত ১৮ ডিসেম্বর গরু আনতে কয়েকজন রাখালের সঙ্গে ভারতের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয় শামিম। অন্যরা বাড়ি ফিরে এলেও ছয়দিন থেকে নিখোঁজ আছে শামিম রেজা।

ফিরে আসা গরুর অন্য রাখালরা জানান, শামিম বিএসএফের গুলিতে মারা গেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত শামিমের মরদেহের কোন খোঁজ পাচ্ছিনা। এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল নাহিদ হোসেন বলেন, ভারতের ৩ কিলোমিটার অভ্যন্তরে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছেন। কিন্তু বিএসএফের পক্ষ থেকে আমাদের কোন কিছু জানানো হয়নি।

এর আগে রোববার রাতে শিবগঞ্জ সীমান্তে শামিম রেজা (২৫) নামে এক বাংলাদেশী রাখালকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের বিরুদ্ধে। ভারতের চাঁদনি চক এলাকার মরা গঙ্গা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শামিম উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের সড়াপাড়া গ্রামের বাইরুল ইসলামের ছেলে।

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে