গমের সোনালী রংঙে রঙিন বরেন্দ্রের মাঠ

প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০২০; সময়: ৬:০০ অপরাহ্ণ |
গমের সোনালী রংঙে রঙিন বরেন্দ্রের মাঠ

আসাদুজ্জামান মিঠু: রাজশাহীসহ বরেন্দ্র অঞ্চল জুড়ে চলছে রবিসশ্যর ভরা মৌসুম। রবিসশ্যর অন্যতম ফসল হচ্ছে গম। গমের সোনালী রংঙে ভরপুর হয়ে উঠেছে পুরো মাঠ। সে সঙ্গে বাতাসে দুলছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। সূর্যের ঝিলিক পড়ার সাথে সাথে পুরো মাঠ সোনার রংঙে রঙিন হয়ে উঠছে। ফাল্গুন মাসের আধাআধি সয়ম পেরুতেই বরেন্দ্র অঞ্চলে জুড়ে গমসহ সকল প্রকার রবিসশ্য কাটা-মাড়ার মহা উৎসব শুরু হয়েছে। চলবে পুরো চৈতমাস পর্যন্ত।

প্রতিকুল আবহাওয়া থাকায় অন্য সব বছরের চেয়ে চলতি মৌসুমে মাঠে মাঠে গমের মাথা ভাল রয়েছে। সে কারণে এবার গমের বাম্পার ফলন হচ্ছে,সে সাথে বাজারে দামও ভাল আছে। রাজশাহীতে গতবারের চেয়ে এবারে গমের আবাদ বেশী হয়েছে। কৃষিশ্রমিকেরা এখন সোনালী ফসল ঘরে তোলা নিয়ে দিন রাত মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে রাজশাহীতে গম চাষ হয়েছে ২৬ হাজার ৫৬১ হেক্টর। গতবছর আবাদ হয়েছিল ২৫ হাজার ২৩০ হেক্টরে। এবারে আবাদ বেশী হয়েছে ১ হাজার ৩৩১ হেক্টর। যার মধ্যে গোদাগাড়ী উপজেলায় সবচেয়ে বেশী গমের আবাদ হয়েছে। এই উপজেলায় আবাদ হয়েছে ৬ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে। এরপরে বাঘা উপজেলা আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ৬৬০ হেক্টর এবং চারঘাট উপজেলায় ৫ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। এছাড়াও পবা উপজেলায় ২ হাজার ২৫০ হেক্টর, বাগমারা ১ হাজার ৫৪০ হেক্টরসহ অন্যান্য উপজেলায় হয়েছে ৫ হাজার ২৭১ হেক্টর জমিতে।

কৃষকেরা জানান, ধান উঠার আগে সরকারী ভাবে ধানের দাম নির্ধারণ করে থাকেন সরকার। কিন্ত গমের দাম নির্ধারণ করেনা। সে কারণে ধানের দাম বাড়লেও গম আবাদ করে এর নায্যমুল্য থেকে বঞ্চিত হন চাষিরা। এজন্য গম চাষে চাষিদের মাঝে অনিহা দেখা দেয়। কয়েক বছর থেকে এ অঞ্চলে গমের চাষ ছেড়ে দিয়েছিলেন চাষীরা। তবে চলতি মৌসুমে কম সেচের গমের আবাদ বেড়েছে।

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা চাদন্দালায় গ্রামের কৃষক তসিকুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে ১২ বিঘা জমিতে গম চাষাবাদ করেছেন। গম কাটা- শুরু করেছেন তিনি। গমের মাথা ভাল থাকায় অন্যনব বছরের চেয়ে ফলন বেড়েছে। প্রতি বিঘাতে ১২ থেকে ১৫ মণ পর্যন্ত ফলন পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে বাজারে প্রতিমণ গম বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ১০০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকা পর্যন্ত।

রাজশাহীর তানোর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সমসের আলী জানান, নানা রোগ বালাইয়ের কারণে এ অঞ্চলে গমের আবাদ কমে গিয়েছিল। তবে,গত বছর থেকে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বরেন্দ্র অঞ্চলে গমের আবাদ বেড়েছে। গমের মাথা ভাল থাকায় ফলন ভাল হচ্ছে। আশা করছি এবার গমে লাভবান হবেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে